প্রযুক্তির কিছু নতুন আবিস্কারঃ ১) চলন্ত ঘর ২) কার জি.পি.এস. ট্র্যাকিং

সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে প্রযুক্তির বিভিন্ন এরিয়া নিয়ে গবেষণা চলছে, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিষ্ময়। আজকে আমি নতুন উদ্ভাবিত ২ টি টেকনোলজি সবার সাথে শেয়ার করবো।

১)চলন্ত ঘরঃ

একটি নতুন ধরণের প্রোটোটাইপ ঘর ইংল্যান্ডের কেমব্রীজশায়ারে অবস্থিত ওয়াসিং আর্টস সেন্টারের কাছাকাছি হাটতে দেখা গেছে। ঘর কি করে হাটতে পারে? ব্যাপারটি কিছুটা ইন্টারেস্টিং। তাইনা?walkinghouse09

 

এটি একটি ইকোবান্ধব ঘর, যা সৌর কোষ এবং একটি ক্ষুদ্র বায়ুকল দ্বারা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আছে একটি রান্নাঘর, একটি বিছানা এবং একটি কম্পোস্টিং টয়লেট।

এর মধ্যে এমন একটি সিস্টেম রয়েছে যার মাদ্ধমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যায়, এতে CO2 নিউট্রাল হিটিং প্রসেস সমৃদ্ধ একটি কাঠের চুলাও রয়েছে।

একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঘরটি এমআইটি এবং ডেনিশ সমষ্টিগত নকশা N55 এর মাঝে এক ঘন্টায় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হাঁটতে পারে, যা মানুষের হাঁটার গতির সমান। পা গুলোতে রয়েছে একটি সফ্টওয়্যার অ্যালগরিদম যা পায়ের নড়াচড়া এবং অবস্থান নির্ণয় করে, পাশাপাশি অসমান ভূমিতে স্থায়ীত্ব প্রদান করে।

 

ঘরটি ঘুরতে পারে, সামনে এগোতে বা পেছনে যেতে পারে, নিজের উচ্চতা প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়াতে বা কমাতে পারে এবং জিপিএস ওয়েপয়েন্ট এর মাধ্যমে প্রোগ্রাম করে গন্তব্যে পৌঁছানো যেতে পারে।

বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের মধ্যে এটি একটি মজার আবিষ্কার।

২) কার জি.পি.এস. ট্র্যাকিং

নতুন গাড়িগুলোতে কার জি.পি.এস. ট্র্যাকিং একটি সাধারণ ব্যাপার। যা ড্রাইভারদের নেভিগেশন এবং ট্র্যাকিং সম্পর্কে ধারণা দেয়। প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিষ্কার কার জি.পি.এস. ট্র্যাকিং প্রসেস কে আরো অত্যাধুনিক করেছে যা এর ব্যবহারের পরিধি বৃদ্ধি করে। কিভাবে নিম্ন সুরক্ষা বিশিষ্ট গাড়িগুলোতে কার জি.পি.এস. সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তার একটি উদাহরণ হলো স্মার্ট বাক্স প্রযুক্তি।

Waterproof-Car-GPS-Tracker-TK104-GPS-Locator-Live-Tracking-System_3304153_eড্রাইভারদের আচরণের একটি বিস্তৃত রেকর্ডিং বীমা কোম্পানিদের দেয়া হয়। “pay-as-you-drive” একটি গাড়ি বীমা। নিউইয়র্ক এর সিটি অফিসাররা “ড্রাইভার স্মার্ট” প্রযুক্তি হিসেবে জি.পি.এস. ট্র্যাকিং এর কথা বিবেচনা করছেন। রাস্তার অবকাঠামো পরিবর্তনের জন্য বেশিরভাগ বড়ো শহরেরই সামর্থ্য সীমিত। একটি কার জি.পি.এস.. সিস্টেম যা ট্রাফিক ইনফরমেশনের সাথে যুক্ত সেটি ড্রাইভারদের রুট নির্বাচন করতে সাহায্য করবে, সময় সাশ্রয় করবে সেই সাথে জ্বালানি সাশ্রয় করবে। ড্রাইভারদের রেকর্ডেড রুটিন দেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফী বাড়িয়ে বা কমিয়ে তাদের দণ্ডিত অথবা পুরস্কৃত করা যেতে পারে। পরিশেষে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজস্ব থেকে পেট্রল কর প্রতিস্থাপিত হবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর যানবাহনের নির্ভরশীলতা কমবে।

 

মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

বিভাগ সমূহ
সম্প্রতি প্রকাশিত
পাঠকের মতামত
আর্কাইভ