একজন উদ্যোক্তাই বোঝেন বিজনেসে দৃশ্যমান প্রফিট না থাকলে তাকে কতটা চাপ সামলাতে হয়

Business-3-curious7একজন উদ্যোক্তাই বোঝেন তাকে কতটা চাপ নিতে হয়। বিজনেসে দৃশ্যমান প্রফিট না থাকলে পার্টনার বা ইনভেস্টরদের আস্থা আর বিশ্বাসও কমতে থাকে। অনেক উদ্যোক্তাই এই চাপটা না নিতে পেরে বিলিন হয়ে যায়। একজন উদ্যোক্তা রাতের পর রাত জেগে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে যে বিজনেস প্লান সাজান তার ২৫% ও যদি তার পার্টনারদের বোঝাতে পারতেন তাহলে ব্যপারটাই অন্যরকম হতে পারতো।
একজন উদ্যোক্তা যে স্বপ্ন দেখেন তার পার্টনারদের পক্ষে একই স্বপ্ন দেখা হয়তোবা সম্ভব নয়। সব সময় মনে হয় আমরা নানা ভাবে উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি আর সে নিজের আখের গোছাচ্ছেন, বিশ্বাস করেই ভুল করেছি।
হয়তো আপনি বা আমিও কারো বিজনেস পার্টনার তাই উদ্যোক্তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। যথেষ্ট সময় দিন। সত্যিই জানার চেষ্টা করুন তিনি কতটা আন্তরিক।
Business-curious7
আত্মসমালোচনা করুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি নিজে টিমকে কতটা সময় দিচ্ছেন, বিজনেস প্লাটফর্ম দাড়ানোর জন্য দরকার হয় টিমওয়ার্কের। একটু ক্যালকুলেশন করে দেখুন যদি বর্তমান অর্জন আর প্রাপ্তির বিপরীতে উদ্যোক্তার কর্মপ্রচেষ্টা পুরো টিমের কর্মপ্রচেষ্টার থেকে বেশি হয় তাহলে ঐ টিম সাসটেইনেবল নয়। বিজনেসে প্রফিট এবং অর্জন বাড়ার সাথে সাথে উদ্যোক্তার কর্মপ্রচেষ্টা কমতে থাকে এক সময় গিয়ে সবকিছু সিস্টেমের মতো দারিয়ে যায় যখন উদ্যোক্তার সরাসরি সম্পৃক্ততা ছাড়াই বিজনেস চলতে পারে ঐ লেভেলটা অর্জন করাটাই একজন উদ্যোক্তার লক্ষ্য হওয়া উচিৎ, পার্টনারদের স্ব স্ব স্থান থেকে এই কাজে সহযোগিতা করা উচিৎ।
Business-2-curious7
কখনো কখনো এমন হয় একজন উদ্যোক্তা এতো বেশি মানষিক প্রেসারে পরে যান যে তিনি তার পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারেন না বা উত্তেজিত হয়ে ভুল করে বসেন।
 
যতটা সময় পর্যন্ত বিজনেসে দৃশ্যমান প্রফিট থাকে না একজন উদ্যোক্তা তার পার্টনারদের থেকে অনেক বেশি চিন্তা করেন এবং চেষ্টা করেন প্রফিটেবল পর্যায়ে যাওয়ার।
 
হতেই পারে একজন উদ্যোক্তা একাডেমিক শিক্ষা, অর্থবিত্ত কিংবা সম্মানে তার পার্টনারদের থেকে ছোট তারপরও এই ক্ষেত্র বিশেষে তিনিই সর্বোত্তম এটা মেনে নেয়াই বাস্তব সম্মত।

কোন বিষয় আমাকে জানানোর জন্য মন্তব্য প্রদান করতে পারেন এর পাশাপাশি আমাকে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিতে পারেন।

আপনার পরিকল্পনা, জিজ্ঞাসা, মতামত, পর্যালোচনা সবার সাথে শেয়ার করুন। নতুন নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুনপ্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করুন,টিমওয়ার্ক করুন, নূন্যতম প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে কোডিং করুন। আসুন সবাই মিলে সমাধান করি যে কোন ধরণের সমস্যা

আজ এ পর্যন্তই। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।

মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

বিভাগ সমূহ
সম্প্রতি প্রকাশিত
পাঠকের মতামত
আর্কাইভ