এই পর্বে আমি আপনাদের রেজিস্টর সম্পর্কে কিছু জানানোর চেষ্টা করবো । Electronics –এ এই component খুবিই গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়াও অনেক component আছে, আমরা সেগুলো সম্পর্কে ধাপে ধাপে জানবো ।
আমরা অনেকেই এগুলো সম্পর্কে মোটা মুটি জানি । তারপরও যারা জানি না তাদের জন্য এই পর্ব ।
রেজিস্টরঃ রেজিস্টর (Resistor) এমন একটা দুই terminal বিশিষ্ট component যা current প্রবাহ পথে বাধা সৃষ্টি করে । রেজিস্টর এর এই বাধা দেওয়ার ক্ষমতাকে রেজিস্টেন্স (resistance) বলে । রেজিস্টেন্স এর একক ohm(ওহম) । ওহম কে- Ω চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
(a)resistor, (b) rheostat (variable resistor) and (c) potentiometer (পট)
এটা একটা রেজিস্টর এর ছবি। আমরা বিভিন্ন প্রজেক্ট এর জন্য মুলত এ ধরনের রেজিস্টর ব্যবহার করবো । কিছু ক্ষেত্রে অন্য রকম হতে পারে।
রেজিস্টর Ohm’s law অনুযায়ি কাজ করে । রেজিস্টর এর আড়াআড়ি ভোল্টেজ হবে , এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট এবং রেজিস্টেন্স এর গুনফলের সমান । সুতরাং
V=IR যেখানে, I =কারেন্ট (ampere), R=রেজিস্টেন্স (ohm) এবং V=ভোল্টেজ ড্রপ (volt)
রেজিস্টর কয়েক ধরনের হতে পারে । এদের মধ্যে- কার্বন কম্পোজিশন (Carbon composition), মেটাল অক্সাইড ফিল্ম, মেটাল ফিল্ম, ভেরিয়েবল রেজিস্টর, থার্মিস্টার এবং লাইট ডিপেন্ডেন্ট রেজিস্টর(LDR) অন্যতম । আমরা বিভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের রেজিস্টর এর ব্যবহার দেখবো ।
রেজিস্টরের মান পরিমাপঃ রেজিস্টর এর মান আমরা দুই ভাবে পরিমাপ করতে পারি। প্রথমত মাল্টিমিটার ব্যবহার করতে পারি । দ্বিতীয়ত কালার কোড পদ্ধতিতে বের করতে পারি। প্রথমে আমরা মাল্টিমিটারকে ওহমিক রেঞ্জে নিয়ে রেজিস্টর এর দুই টারমিনালের সাথে মাল্টিমিটার এর দুই নব ভালো ভাবে ধরবো। খেয়াল রাখতে হবে যেন রেজিস্টর অন্য কোন পরিবাহির সংস্পর্শে না থাকে এবং দুই হাত রেজিস্টর এর টারমিনালে লেগে না থাকে। এভাবে নির্ভুল ভাবে রেজিস্টরের মান পরিমাপ করা যাই। এখন দেখব কিভাবে কালার কোড ব্যবহার করে রেজিস্টরের মান জানা যাই। এর জন্য আমরা নিচের ছবির দিকে একটু মনযোগ সহকারে চোখ বোলাব।
উপরের ছবি থেকে আমরা রেজিস্টরের কালার কোড সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছি । আমরা যদি কালার এর পর্যায়(sequence) মনে রাখতে পারি তবে সহজে রেজিস্টরের মান বের করতে পারব। কালার মনে রাখার কিছু সহজ উপায় আছে । প্রথমত দেখব ইংরেজিতে কিভাবে কালারের পর্যায় মনে রাখা যাই। BB ROY Good Boy Very Good Worker. এবং বাংলাতেও সহজে মনে রাখা যাই। দেখি তাহলে কিভাবে মনে রাখবো—কা বা লা ক হ স নি বে ধু সা।
এখন প্রথম থেকে color গুলো দেখি। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।
এছাড়াও silver এবং gold আছে। এই দুইটা কালার tolerance মান মান নির্দেশ করে (resistor এর মান শতকরা কি পরিমান কমতে বা বারতে পারে তা নির্দেশ করে )।
এখন আমরা দেখবো কিভাবে মান পরিমাপ করা যায় । পাশে আমরা একটি রেজিস্টরের ছবি দেখতে পারছি। এখানে কালারের পর্যায় হল-
১ম: বাদামী (Brown),
২য়ঃ কালো (Black)
৩য়ঃ লাল (Red)
৪র্থ: সোনালী (gold)
আমারা এখন কালার কোডের প্রথম ছবির দিকে তাকায় , তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে। এখন-
রেজিস্টেন্স R= ১ম ব্যান্ড ২য় ব্যান্ড×৩য় ব্যান্ড ± ৪র্থ ব্যান্ড= 10×100±5% of (10×100)
= 1000±50 Ω (ohm)
একই ভাবে আমরা পাঁচ ব্যান্ড এর রেজিস্টরের মান বের করতে পারি।
[৪র্থ ব্যান্ড এর ক্ষেত্রে ১ম এবং ২য় ব্যান্ড পাশাপাশি বসবে। ৩য় ব্যান্ড multiplier. ৫ম ব্যান্ড এর ক্ষেত্রে ১ম, ২য় এবং ৩য় ব্যান্ড পাশাপাশি বসবে। ৪র্থ ব্যান্ড multiplier। উভয় ক্ষেত্রেই শেষ ব্যান্ড টলারেন্স মান নির্দেশ করে]
এখন রেজিস্টরের ছোট্ট একটা ব্যবহার দেখে আজকের পর্ব শেষ করব। আমরা অনেক সময় দেখি যে, একটা ৫ ভোল্ট উৎসের সাথে সরাসরি LED সংযুক্ত করলে LED নষ্ট হয়ে যাই। সেক্ষেত্রে আমরা এর সাথে একটা রেজিস্টর ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কি মানের রেজিস্টর ব্যবহার করলে LED নষ্ট হবে না এবং সর্বচ্চো আলো পাওয়া যাবে তা আমরা দেখবো। এর জন্য LED এর ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর মান জানতে হবে। আসুন বিভিন্ন কালারের LED এর ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর রেটিং যেনে নিই।
লাল LED: 2 V 15mA(মিলি অ্যাম্পিয়ার)
সবুজ LED: 2.1 V 20mA
নীল LED: 3.2 V 25mA
সাদা LED: 3.2 V 25mA
আমরা এখানে দেখবো লাল LED এর সাথে কত মানের রেজিস্টর ব্যবহার করলে LED নষ্ট হবে না এবং সর্বচ্চো আলো পাওয়া যাবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ২০০ ওহম এর রেজিস্টর ব্যবহার করলে আমরা কাঙ্খিত ফলাফল পাব। এভাবে যে কনো LED বা যেকোন লোডের জন্য রেজিস্টরের মান বের করা যাবে।
আমার সাথে থাকার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। আশাকরি আপনারা ভালো থাকবেন এবং প্রযুক্তির সাথেই থাকবেন।
রেজিস্টর বিষয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে। কিউরিয়াস ৭ এর প্রতি শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ।
দারুন লাগল, অত্যানত প্রানজল..