মহাকাশের বিভিন্ন বিষয় বিষয় ব্যাখ্যা করতে এস্ট্রোফিজিক্স মূলত পদার্থবিজ্ঞানের যেসব তত্ত্ব ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে তা ব্যবহার করে কাজ করে। এস্ট্রোফিজিক্স এর উদ্দেশ্য হলো এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে জানা , এই মহাবিশ্বের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা এবং তাদের বৈশিষ্ট সম্পর্কে জানা।
১. শনি গ্রহের চাঁদের নাম টাইটান। এই টাইটানের বায়ুমণ্ডলে জৈবরাসায়নিক পদার্থ থাকার প্রচুর প্রমান রয়েছে।
২. আমরা জানি যে, শুধুমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। কিন্তু ১৯৮৬ সালে নাসা মঙ্গলগ্রহে যে পাথর খুঁজে পায়, ধারণা করা হয় তা হয়তো কিছু অণুবীক্ষণিক জীবের জীবাশ্ম।
৩. বেশিরভাগ বিজ্ঞানী বলেন জৈব কণিকার মূল উপাদানগুলো পৃথিবীতে তৈরী কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রেড হেইলে বলেন, তারা মূলত এসেছে মহাশূন্য থেকে।
৪. মহাশুন্যের মাঝখানের স্তরগুলো বেলুনের মতো প্রস্ফুটিত, যা মহাকাশচারীর দেহের বিপরীতে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ না থাকলে মহাকাশচারীর দেহ ফুটে যেত।
৫. স্পেসস্যুট এর মোট খরচ হলো ১১ মিলিয়ন ডলার যার ৭০% ই কন্ট্রোল মডিউল এবং ব্যাগপ্যাকের জন্য খরচ হয়।
৬. কখনো ভেবে দেখেছেন, মহাকর্ষীয় বস্তুগুলোর মাঝে মধ্যাকর্ষণ বল কিভাবে গণনা করা হয়? খুবই সহজ তাদের ভরগুলির গুনফল বের করে সেই গুণফলকে তাদের মধ্যকার দূরত্বের বর্গ দিয়ে ভাগ করলে তাদের মধ্যকার মধ্যাকর্ষণ বল পাওয়া যাবে।
৭. প্রদীপ্ত নীহারিকা বা নেবুলাদের নামকরণ করা হয় এদের মৃদু লাল আলোর জন্য, যেহেতু তাদের মধ্যকার হাইড্রোজেন গ্যাস নিকটবর্তী নক্ষত্রের বিকিরণের ফলে উত্তপ্ত হয়।
৮. ডিরাকে ইকুয়েরাশন নামের তত্ত্বটি দিয়েছেন ফ্রাঙ্ক ডিরাকে নামক একজন বিজ্ঞানী যা দ্বারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয় যে আমাদের গ্যালাক্সিতে কতটি সভ্যতা থাকতে পারে এবং ফলাফলে পাওয়া যায় লক্ষ্য লক্ষ্য সভ্যতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সিতে।
৯. এস.ই.টি.আই. হলো এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল গোয়েন্দা সংস্থা যা বহির্জগতের কোনো বুদ্ধিমান প্রাণী দ্বারা দেয়া সংকেতের অনুসন্ধান করে।
১০. মিল্কিওয়ে ছায়াপথ, যেখানে আমরা বাস করি তা কোটি কোটি ছায়াপথের মধ্যে একটি মাত্র।
১১. মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি খুব দ্রুত অনবরত ঘুরছে, সূর্য ও এর অন্যান্য নক্ষত্র নিয়ে ঘন্টায় প্রায় ১০০ মিলিয়ন কিলোমিটার বেগে।
১২. ছায়াপথকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সূর্যের সময় লাগে ২০০ মিলিয়ন বছর। যা ১০০০০০ আলোকবর্ষের সমান।
১৩. প্রতিটি ছায়াপথের ভেতরেই হয়তো একটি বিশাল কৃষ্ণগহ্ববর রয়েছে।
১৪. এই মহাবিশ্বের বয়স আনুমানিক ১৫ বিলিয়ন বছর। যদিও অনুমানটি পরিবর্তিত হতে পারে।
১৫. এখানে একটি সমস্যা দেখা দেয় যে, মহাবিশ্বে ১৪ থেকে ১৮ বিলিয়ন বছরের নক্ষত্র রয়েছে, যা মহাবিশ্বের বয়সের থেকে বেশি। কিন্তু নক্ষত্রের বয়স মহাবিশ্বের বয়সের থেকে কম হতে হবে নয়তো মহাবিশ্বের বয়স নক্ষত্রের বয়স থেকে বেশি হতে হবে।
১৬. অনেক দূরের গ্যালাক্সিগুলো আমাদের থেকে দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে, যার বেগ আলোর বেগের ৯০% এর বেশি।
১৭. আপনি যদি কখনো কৃষ্ণগহ্ববরের ভেতর পরে যান আমি অনেকটা স্প্যাগেটির মতো প্রসারিত হতে থাকবেন।
১৮. বুধ গ্রহে একদিন হতে পৃথিবীতে ৫৯ দিন পার হয়ে যায়।
১৯. মঙ্গলগ্রহের রং লাল হয়, কারণ এর মাটিতে অক্সিডাইজড আয়রন থাকে।
২০. সবথেকে কম ঘূর্ণন গতি সম্পন্ন গ্রহ হলো শুক্র। এটি ২৪৩.০১ দিন সময় নেয় একবার আবর্তন করতে।
মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য লিখুন