মার্চ ১২, ২০১৭
অনেক চিন্তা করে দেখলাম, টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি (অর্থাৎ বস্তুগত সম্পদ) আসলে কোন সম্পদ নয়। এই জিনিস গুলো জীবনের সহায়ক মাত্র। এই গুলো হারিয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে, নিজের থেকে অধিক শক্তিশালী কেউ কেড়ে নিতে পারে, চুরি করতে পারে, জালিয়াতি করতে পারে।
যদি একান্ত নিজের সম্পদ বলে যদি কিছু থাকে তাহলে তা অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা আর অভিজ্ঞতা। যা আমরা জন্ম নেয়ার সময় সাথে করে আসি না, পৈত্রিকভাবেও পাওয়া যায় না।
কষ্ট করে,অনুশিলন,অধ্যবসায় দ্বারা এই সম্পদ বাড়াতে হয়। সত্যিকারের এই সম্পদে যদি আমরা ধনী হই তাহলে সহায়ক আপাত সম্পদ গুলো এমনিতেই প্রয়োজনের সময় চলে আসবে।
একটা উদাহরণ দেয়া যাক। সাধারণত মেধাভিত্তিক পেশাদারদের মাসিক আয় প্রকৃত সম্পদের (জ্ঞান, দক্ষতা,অভিজ্ঞতা) সমানুপাতিক হয়।
ধরা যাক দুইজন লোকের বর্তমানে আপাত সম্পদের পরিমাণ সমান, সমাজে দুইজনই সমপরিমাণ সম্মানিত, তাদের মাসিক আয়ও সমান।
গত বছরে তারা একই সাথে পাশাপাশি দুইটা বাড়ি তৈরি করেছেন।
একজন অভিজ্ঞ, প্রযুক্তিপ্রেমী, দক্ষ প্রকৌশলী আর অন্যজন পৈত্রিক সম্পদে সম্পদশালী শুধু ভাড়া ওঠায় আর খায় দায় ঘুমায়।
একটা প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের বাড়ি ঘর, আপাত সম্পদ সব নষ্ট হয়ে গেল। আসলে যিনি প্রকৌশলী তার পরবর্তী জীবন সংগ্রাম করতে খুব বেশি কষ্ট হবে না কারণ তার অদৃশ্য সম্পদ অক্ষত রয়েছে। যা গেছে আপাত সহায়ক মাত্র, দিনে দিনে আবার হবে, মাসিক ইনকাম বা অন্য কোন কর্মস্থল তৈরি করতে কোন সমস্যাই হবে না।
আসলেই আমাদের গুরুজনেরা ঠিকই বলেছেন, জ্ঞান অর্জন করো, দক্ষতা অর্জন করো, অভিজ্ঞতা অর্জন করো সব তোমার থাকবে, এমন কি মিত্যুর পরও তোমারই থাকবে।
—– অসীম কুমার পাল ——
প্রতিষ্ঠাতা কিউরিয়াস সেভেন
মন্তব্য নেই
আপনার মন্তব্য লিখুন