পৃথিবীর মজার কিছু তথ্য

আজ আমরা পৃথিবীর মজার কিছু বিষয় জানবো এবং বিজ্ঞানের আলোকে তার উত্তর খুঁজব।

 

১)মহিলা হাঙ্গরদের পুরুষ হাঙ্গরদের থেকে পুরু ত্বক থাকে কেন?

মহিলা হাঙ্গরদের পুরুষ হাঙ্গরদের তুলনায় পুরু ত্বক থাকে, বিজ্ঞানীরা মনে করেন এর কারণ হল, পুরুষ হাঙ্গরদের একটি বিশেষ সময়ে মহিলা হাঙরদের কামড়ানোর প্রবণতা দেখা গেছে। এছাড়াও হাঙরদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, কখনও কখনও অনেক সংখ্যক হাঙ্গর একত্রে জড়ো হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গবেষকরা এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন যে, ১০০০০ এরও বেশী সংখ্যক ব্ল্যাকটিপ হাঙ্গর ফ্লোরিডা উপকূলে একসঙ্গে লুকায়িত ছিল।

২) মহাসাগর কত গভীর?

মহাসাগর গড়ে ১২০৮০.৭ ফুট (৩৬৮২.২ মিটার) গভীর। যা প্রায় ৮ টি সম্রাজ্যের রাষ্ট্রভবন একটির উপর আরেকটি দাঁর করালে যতটুকু উচ্চতা হবে তার সমান গভীরতা। তবে, মহাসাগরের গভীরতম অংশের গভীরতা প্রায় ৩৬২০০ ফুট (১১০৩০ মিটার)। যা ২৫ টি সম্রাজ্যের রাষ্ট্রভবনের সমান।

 

৩) মানুষ কতটি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত?

প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের দেহের কঙ্কাল ২০৬ টি হাড় নিয়ে গঠিত। সবচেয়ে ছোট হাড় হল স্টেপিস, যা কানের মধ্যভাগের তিনটি হাড়ের মধ্যে একটি। মানবদেহের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী হাড় হল ফিমার, যা আমাদের উরুতে অবস্থিত। টিবিয়া নামক হাড়টি মানব দেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাড়, যা আমাদের পায়ের নিচের ভাগে অবস্থিত। আরেকটি মজার ব্যাপার হল, শিশুদের দেহ ২৭০ টি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত। বড় হওয়ার সাথে সাথে এগুলোর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

 

৪) হিসিং ককরোস

মাদাগাস্কারের হিসিং ককরোস বা তেলাপকার নামকরণ কীভাবে হয়েছে? এটি হিস্হিস ধ্বনি করে, কিন্তু যে উপায়ে করে তা কিছুটা অদ্ভুত। এই বড় পোকাটি ক্ষুদ্র শ্বাস প্রশ্বাসের ছিদ্রের মাধ্যমে বায়ু আদান প্রদান করে, যাকে থোরাক্স এবং এবডোমিন এর উপর স্ফেরিক্যালস বলে। এরা এই শব্দটি করে যখন এরা বিস্মিত হয় এবং সঙ্গীকে আকৃষ্ট করার জন্য যখন এরা অন্য তেলাপোকাকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান করে।

 

৫) আপনি কি জানেন চাঁদে আপনার ওজন কমে যাবে?

ব্যাপারটি হয়তো আমরা অনেকেই জানি। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বল চাঁদের ছয়গুণ। তাই পৃথিবীতে কারো ওজন ১৫০ পাউন্ড বা ৬৮ কেজি হলে চাঁদে তাঁর ওজন হবে ২৫ পাউন্ড বা ১১ কেজি। চাঁদের মধ্যাকর্ষণ বল কম তার কারণ চাঁদের ভর পৃথিবীর ভরের মাত্র এক শতাংশ। আমাদের ওজন বিভিন্ন গ্রহে বিভিন্ন হতে পারে। কেও যদি বৃহস্পতি গ্রহে যায়, তবে তার ওজন বর্তমানে তার ওজনের দ্বিগুণেরও বেশী হবে।

 

৬) উট তার কুজে পানি জমা করতে পারে না

উট মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যে ৩০ গ্যালন বা ১১৩ লিটার পানি সঞ্চয় করে রাখতে পারে। এই পানি মূলত এর রক্তস্রোতে সঞ্চিত হয়, এর কুজে নয়। যখন খাবার দুষ্প্রাপ্য হয়ে যায় তখন এই রক্তস্রোতের পানি পুষ্টি যোগায়।

৭) আমাদের পুরোটাই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ

মানবদেহের পুরোটাই উপকারী ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ। আমাদের ত্বকের গঠনে এরা ভূমিকা রাখে এছাড়াও আমাদের নাড়িভুঁড়িতে এরা অবস্থান করে, আমাদের দেহকে সতেজ রাখে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, মায়ের বুকের দুধে ৭০০ প্রজাতির বেশী ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।

 

8) মন্তিস শ্রিম্প বিপদজনক!

মন্তিস শ্রিম্প নামক একপ্রকার চিংড়ি তাদের বর্মযুক্ত নখ দিয়ে ২০০ পাউন্ড ( ৯১ কেজি) শক্তি ব্যায় করে ঘুষি দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৭৪ ফুট গতিতে আঘাত করতে পারে (২৩ মিটার/সেকেন্ড)। এর খোলক মাত্র ৪ ইঞ্চি (১০ সেন্টিমিটার) লম্বা। তাই এদেরকে “থাম্ব স্প্লিটারস” ডাকনামে ডাকা হয়।

৯) যে ধাতু সাধারণ অবস্থায় গলিত অবস্থায় থাকে

মার্কারি একমাত্র ধাতু যা সাধারণ তাপমাত্রায় গলিত অবস্থায় থাকে। এর কারণ হচ্ছে, রুম টেম্পারেচারে একটি মার্কারি পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারপাশে ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনগুলোর অন্য মার্কারি পরমাণুগুলোর সাথে দুর্বল বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। তাই এরা তরল অবস্থায় থাকে।

 

১০) সিহর্স এর উচ্চ বিপাক ক্ষমতা রয়েছে

সিহর্স বা সিন্ধুঘোটক এর কোন পাকস্থলী থাকে না, শুধু নাড়িভুঁড়ি থাকে খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ করার জন্য। খাদ্য খুব দ্রুত তাদের পাচনতন্ত্রের ভেতর দিয়ে চলে যায় তাই এরা বিরতিহীন ভাবে খাদ্য খেয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য নেই

আপনার মন্তব্য লিখুন

বিভাগ সমূহ
সম্প্রতি প্রকাশিত
পাঠকের মতামত
আর্কাইভ