ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে আমরা অনেক বেশি ইনটারনেট বা অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছি। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার,স্মার্ট ওয়াচ, টিভি, কফি মেকার, টোস্টার মেশিন এমন কি ফুলের টবে পানি দেয়ার সিস্টেমকেও অনলাইনের সাথে আমরা কানেক্টেড করেছি। ইনটারনেট এমন একটা যোগাযোগ মাধ্যম যা আমাদের সবগুলো ডিজিটাল ডিভাইসকে ইন্টারকানেক্টেড করতে পারে।
অন্যদিকে অটোমেটেড সিস্টেমের জনপ্রিয়তা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। যেমন ঘরের তাপমাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ। অটোমেটিক পানির পাম্প নিয়ন্ত্রণ। কেমন হয় যদি বাজারের লিষ্টটা অটো জেনারেট হয়? আর যদি লিষ্ট তৈরি করার সময় আপনার পছন্দ অপছন্দ, বাসায় কি কি আছে কি নেই, পুষ্টিগুণ ইত্যাদি বিবেচনা করা হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা তাই না ?
ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) কি?
আমরা যা কিছু দেখি, করি, বা বিবেচনা করি তার সবকিছুই মোটামটি কোন না কোন সেন্সর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর করা যায়। আর এই ডাটা সমূহকে বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তৈরি করা যায়। সিদ্ধান্ত সমূহকে বিবেচনা করে নতুন নির্দেশনা এবং গাইডলাইন তৈরি করা যায়। সিদ্ধান্ত, গাইডলাইন সবই যেহেতু ডিজিটাল ডাটা তাই স্টোরেজ ডিভাইস সমূহে জমা রাখা যায়। প্রয়োজনে পরিসংখ্যান বা গ্রাফের মাধ্যমে প্রদর্শন করা যায়।
অর্থাৎ কোন পরিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করা, প্রসেস করা, সিদ্ধান্ত তৈরি করা, সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিস্টেমের অন্যন্য বৈশিষ্ট্যকে পরিচালনা করা, সংরক্ষণ, ভিজুয়ালাইজেশন এই সব গুলো বিষয়কে সমন্বিত করে যে নতুন ধারণা প্রবর্তিত হয়েছে তাই হচ্ছে ইন্টারনেট অব থিংস বা IoT ।
ইন্টারনেট অব থিংস বা IoT এর ক্ষেত্রে সেন্সর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে ডটা সংগ্রহ করে ওয়্যার কমিউনিকেশন, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি(RF), সিরিয়াল কমিউনিকেশন(UART) বা সিরিয়িাল পেরিফেরাল ইন্টারফেস (SPI) ইত্যাদি কমিউনিকেশনের মাধ্যমে লোকাল প্রসেসিং ডিভাইসে ডাটা প্রসেস করা হয় পরবর্তীতে বিভিন্ন কমিউনিকেশন প্রটোকল যেমন HTTP, MQTT, Wifi, Bluetooth ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভার বা ক্লাউড সার্ভারে পাঠানো হয়।সার্ভারে বা ক্লাউড সিস্টেমে ডাটাবেজে ডাটা সমূহ জমা থাকে। ডাটা এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে সেন্সর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সময়ের ডাটা প্রসেস করা হয় এবং সিস্টেম থেকেই ফলাফল ফিল্টারিং করে সিদ্ধান্ত বা কমান্ড তৈরি করা হয় যা দ্বারা পরস্পর সংলগ্ন বা ডিপেন্ডেন্ট অন্যান্য সিস্টেমকে পরিচালনা করা হয়। ডাটা ভিজুয়্যালাইজারের মাধ্যমে গ্রাফিক্যালি বা পরিসংখ্যান আকারে রিপোর্ট প্রদর্শন করা হয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটি অনলাইন নির্ভর হওয়ায় দূর থেকেই সিস্টেমে কমান্ড পাঠানোর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, স্ট্যাটাস ভিজুয়ালাইজ করা, চালু করা বন্ধ করা সবই করা যায়।
কোন বিষয় আমাকে জানানোর জন্য মন্তব্য প্রদান করতে পারেন এর পাশাপাশি আমাকে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিতে পারেন।
আপনার পরিকল্পনা, জিজ্ঞাসা, মতামত, পর্যালোচনা সবার সাথে শেয়ার করুন। নতুন নতুন প্রজেক্ট তৈরি করুন। প্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার চেষ্টা করুন,টিমওয়ার্ক করুন, নূন্যতম প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে কোডিং করুন। আসুন সবাই মিলে সমাধান করি যে কোন ধরণের সমস্যা ।
আজ এ পর্যন্তই। সবার জন্য শুভকামনা রইলো।